ভারতে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কারাগারে আটক ২৫ বাংলাদেশি প্রায় চার মাস পর মুক্তি পেয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার তারা লালমনিরহাটের বুড়িমারী ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে আসেন। এ ২৫ বাংলাদেশির বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।
আব্রাহাম লিংকন জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ, ভারতীয় সরকারের সম্মতির প্রেক্ষিতে ও সব পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে ২৫ বাংলাদেশিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি এবং মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।
বৈধ কাজের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় ৩ মে ভারতে যাওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি পুলিশ। এদের মধ্যে বকুল মিয়া নামে একজন ভারতে কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় চার মাস কারাভোগের পর গত ২৯ আগস্ট বাকি ২৫ জনের মুক্তির আদেশ দেয় ভারতের ধুবড়ি আদালত।
গত ৫ মে ওই ২৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং ফরেনার্স (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০৪ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৬৭’র ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাসপোর্টধারী এসব বাংলাদেশি টি-ওয়ান ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
আসাম পুলিশের অভিযোগ, এই বাংলাদেশিরা রাজ্যের জোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগর এলাকায় কর্মসংস্থান কার্যক্রমে যুক্ত থেকে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার চিলমারী উপজেলা পরিষদে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তাদের মুক্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে একাধিকবার মানববন্ধন করেন আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা। এর মধ্যে গত ১ জুলাই কারা হেফাজতে বকুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশি মারা গেলে চার দিন পর তার মরদেহ দেশে স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়।