Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingবুধবার থেকে ফের ইলিশ শিকার শুরু

বুধবার থেকে ফের ইলিশ শিকার শুরু

প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেওয়া ইলিশ মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠছে বুধবার। এদিন রাত ১২টার পর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শেষে ফের ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা।

ইলিশ মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।

নির্দিষ্ট এ সময়ে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ। এর লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

ইলিশ গবেষকরা বলছেন, এই সময়ে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- মা ইলিশ রক্ষা করা, যাতে তারা নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। এই ডিম রক্ষা করতে পারলে তা নিষিক্ত হয়ে জাটকার জন্ম হবে। সেই জাটকা রক্ষা করা গেলে দেশে বড় আকারের ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ শিকারে নামতে ব্যস্ততা দেখা গেছে জেলে পল্লীগুলোতে। নদীর কুল ঘেঁষে বাঁধের ওপর রাখা হয়েছে সারি সারি নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। কেউ পুরোনো জাল রিপু করছে। কেউ বা নতুন জাল বুনতে ব্যস্ত। আবার কেউ নৌকা-ট্রলার মেরামত করছে।

ভোলা সদরের ইলিশা ফেরিঘাট, তুলাতলী, ভোলার খাল, ইলিশা বিশ্বরোডসহ মেঘনা পাড়ের বেশকিছু এলাকা এমন দৃশ্য দেখা গেছে। নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী অন্যান্য জেলার জেলে পল্লীগুলোতেও উৎসবের আবহ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বলেন, ৪ নভেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর নির্বিঘ্নে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে।

এই বছর বাংলাদেশের বাজারে অনেক কম দামে বড় আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে। নদী ও সাগরে তুলনামূলকভাবে বেশি বড় ইলিশও ধরা পড়েছে।

আগে যেখানে এক কেজির ওপরের ইলিশের কেজি কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এই বছর বাংলাদেশে সেটা হাজার টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই আস্তে আস্তে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল।

এরপর ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে পরে মিলিয়ে ১১ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।

তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান যে, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এই সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরবর্তীতে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু হয়।

বাংলাদেশের জিডিপিতে এর অবদান এক শতাংশের মতো। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments