Thursday, March 28, 2024
HomeScrolling‘বাবুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় মিতুর সঙ্গে কলহ চলছিল’

‘বাবুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় মিতুর সঙ্গে কলহ চলছিল’

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার পেছনে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের ‘পরকীয়ার’ জের রয়েছে বলে মনে করছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

বুধবার দুপুরে তিনি নগরীর পাঁচলাইশ থানায় গিয়ে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে ‘পরকীয়ায়’ জড়িয়ে পড়ায় মিতুর সঙ্গে তার কলহ চলছিল।

এর জেরেই বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’ ২০১৬ সালের ৫ জুন প্রকাশ্যে রাস্তায় মিতুকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, আগের যে মামলা তাতে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আগের মামলার তদন্তে পুলিশ বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে পিবিআই। বাবুল এখানে পরিকল্পনাকারী। অন্য যারা আসামি তারা আগের মামলায় তদন্তে এসেছিল। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

মিতুর বাবা বলেন, বাবুল যেহেতু আগের মামলার বাদী ছিল, আমি না করলে পুলিশ সুয়োমটো করে মামলা করত। তারা করেনি, আমি করেছি। গত তিন বছর ধরে তার (বাবুল) সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।”

মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল ২০১৩ সালে কক্সবাজারে ছিল। সেখানে গায়ত্রী নামের একজন এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরকীয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এ বিষয়টি আমি মামলায় উল্লেখ করেছি।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন তার স্ত্রী মিতু। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে বাবুল আক্তার নিজেই মামলা করেছিলেন।

শুরুতে মেয়েজামাইয়ের পক্ষে বললেও কিছুদিন পর অবস্থান বদলান বাবুল আক্তারের শ্বশুর পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।

তিনি অভিযোগ তোলেন, তার মেয়েকে হত্যার পেছনে তার জামাইয়ের যোগসাজশ রয়েছে বলে তার সন্দেহ।

পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে বাবুল আক্তার নানা গুঞ্জনে নীরব থাকলেও শ্বশুরের সন্দেহ প্রকাশের পর এক ফেইসবুক পোস্টে জবাব দিয়েছিলেন।

‘সবাই বিচারক, আর আমি তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই খুনি’ শিরোনামে দুই হাজারের বেশি শব্দের ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি তার নিহত স্ত্রী মিতুর স্কুলপড়ুয়া এক খালাত বোনের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে রাজি না হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আসায় তার উপর ক্ষিপ্ত হন তারা।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments