অন্য সময় তো বটেই তীব্র গরমে ফল খেলে শরীর থাকে শীতল। ফলে প্রচুর পানি, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ উপাদান থাকে; যেগুলো শরীর আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু ফল খা্ওয়ার পরপরই অনেকে পানি পান করে থাকে। আবার অনেকে ফলের সঙ্গেই পানি পান করেন। এটা কতটা নিরাপদ?
পরিবারের মুরুব্বিরা ফল খা্ওয়ার পরপরই পানি পান করতে নিষেধ করেন। তাদের কথাটাই সঠিক।
ফল খা্ওয়ার পরপরই পানি খা্ওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন; নইলে দেখা দিতে পারে অসুখ।
শরীর আর্দ্র রাখতে চমৎকার কাজ করে ফল এবং এটি তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করে। কিন্তু এরপরও যদি পিপাসা লাগে তাহলে অবশ্যই ফল খা্ওয়ার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তবে অধিকাংশ চিকিৎসক এবং ডায়াটেশিয়ান ৪০-৫০ মিনিট ব্যবধান রাখতে বলেন।
আপনার যদি বেশি পিপাসা লাগে তবে একবা দুই ধোক পান করে নিন। পরে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পুরো গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
ফল খা্ওয়ার পরই পানি পান করলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে-
হজমের ধীরগতি: পানি প্রয়োজনীয় ডাইজেসটিভ এনজাইম কমিয়ে দিয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে ধীরগতি করতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড কমিয়ে দেয়; যা পাকস্থলীতে খাবার দীর্ঘক্ষণ অপরিপাক অবস্থায় রাখে।
পাকস্থলী খাবার হজম করতে অনেক সময় নেয়। যার কারণে অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।
পেটব্যথা: অধিকাংশ ফলেই চিনি এবং ইস্ট থাকে যা পাকস্থলী ডাইজেসটিভ এনজাইম উৎপন্ন হ্ওয়ার পরই হজম হয়। তাই ফল খা্ওয়ার পরই পানি খেলে হজমপ্রক্রিয়ায় ধীরগতি দেখা দেয়। এটি পাকস্থলীতে ইস্ট বৃদ্ধি করে, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অ্যালকোহল উৎপন্ন করে; যা গ্যাস এবং পেট ফাঁপার জন্য দায়ী। ফল বিশেষ করে- কমলা, তরমুজ, কিউই, পেঁপে,আনারস, স্ট্রবেরি, আম এবং আনারস খা্ওয়ার পর ৩০ মিনিট পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ডায়রিয়া: পানি আর ফল একসাথে খা্ওয়ার ফলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। ফলেই পর্যাপ্ত পানি রয়েছে যা সহজে হজমক্রিয়ায় সহায়তা করে। পানি পানের ফলে হজমক্রিয়া আরো বেশি দ্রুতগতি হয়ে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।