শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে চাঞ্চল্যকর কিশোর প্রতিবন্ধী রুবেল মিয়া (১৭) হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জামালপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রুবেল মিয়া শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কান্দুলী গ্রামের মো. নূরুল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় পাইকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
বাড়ি থেকে নিখোঁজের ১৭ দিন পর (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় পাইকুড়া গ্রামের কানি বিল থেকে ওই প্রতিবন্ধী ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা অজ্ঞাতনামা আসামি করে পরদিন (৭ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইগাতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে মূল হত্যাকারী সোহেলকে গ্রেপ্তার করে জামালপুরের পিবিআই ইউনিট। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া (১৯) পাইকুড়া নয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জামালপুরের ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার এম. এম. সালাহ উদ্দীন জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআইয়ের আভিযানিক দল।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, রুবেল মিয়াকে হত্যা করে দুজন ব্যক্তি। অপর ব্যক্তি গ্রেপ্তারকৃত আসামির খালাতো ভাই সোহরাব (২০)। তারা একসাথে চলাফেরা করত এবং আইপিএলে বাজি খেলত। বাজির পাওনা টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে রুবেলের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সূত্র ধরেই তারা রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
উল্লেখ্য, ১৯ আগস্ট রাতে তারা রুবেল মিয়াকে মাছ ধরার কথা বলে কানি বিলে নিয়ে কাদার মধ্যে মুখ চেপে হত্যা করে এবং কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।