Wednesday, April 24, 2024
Homeগাইবান্ধাপলাশবাড়ী তরুন যুব সংঘের উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ আজান প্রতিযোগিতা

পলাশবাড়ী তরুন যুব সংঘের উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ আজান প্রতিযোগিতা

 আমিরুল ইসলাম কবিরঃ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে “তরুণ যুব সংঘ”র উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ,আজান,পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও ইসলামী সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার ১৫ মার্চ বিকেলে উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের মেরীরহাট ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা মাঠে “তরুণ যুব সংঘ”র ভাইস চেয়ারম্যান আলী মুনছুর ওরফে দূখী মুনছুরের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত,ইসলামী সঙ্গীত (গজল) ও আজান প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেন,অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীগণ। অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও অসহায় অসুস্থ্ মানুষের হাতে,অসুস্থ্য এক ব্যক্তিকে কর্মসংস্থান করতে ও একজন কৃতি শিক্ষার্থীকে আর্থিক উপহার তুলে দেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৌদী প্রবাসী রিমন আহমেদ এরশাদ। অনুষ্ঠানে দুই জন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু ও এক বৃদ্ধকে ৩টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন তিনি। এ প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ রবিউল ইসলাম,মাও.বেলাল হোসেন,মাও.হাসানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী আমিরুল ইসলাম কবির মামুন সরকার ও শাহিন শেখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণসহ স্থানীয়বাসী ও অভিভাবকগণ। এর আগে একই দিন সকালে তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সৌদি প্রবাসী রিমন আহমেদ এরশাদ পলাশবাড়ী পৌর শহরের মহিলা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন। রিমন আহমেদ এরশাদ মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসায় এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করার এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৌদী প্রবাসী রিমন আহম্মেদ এরশাদ বলেন,আমার মানবিক সহায়তা কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য নয়,অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর নেশা থেকে এগিয়ে আসা। আর এসব বিষয় যখন প্রকাশ্যে আসলো তখন অনেক সমস্যা ও কিছু লোকের সমালোচনা শুরু হলো। আমি কোন দিন কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনে বসি নাই,কোথাও কোন বক্তব্য দেই নাই। আমি কোন বক্তব্য দিয়ে নয় বা কোন অনুষ্ঠানের কোন আসনে বসতে চাই না। বিদেশে শ্রমজীবী হিসাবে থাকাকালে ও দেশে থাকাকালে দীর্ঘদিন হলো গোপনে ও প্রকাশ্যে অসহায় মানুষ ও শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো,অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি আর এভাবে সহায়তার কাজ চালাবো না,মাধ্যম পরিবর্তন করবো। আনুষ্ঠানিক ভাবে নয় গোপনে অসহায়দেরকে ও উন্নয়ন হতে পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে তিনি সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments