Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingনির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার: সিইসি

নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার: সিইসি

অনলাইন ডেস্ক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বললেন, সব দেশেই তো দলীয় সরকারের অধীনেই হচ্ছে। ভারতে, বিলেতে, আমেরিকাতেও হচ্ছে।

সোমবার (১৩ জুন) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি আরও বলেন, সরকার কিন্তু সরকারই। দল ভিন্ন জিনিস। কেবিনেট যেটাকে বলা হয়— রাষ্ট্রপতি থেকে বা প্রধানমন্ত্রী থেকে ডেপুটি.., এটাই কিন্তু মূল সরকার। বাকি যারা আছে সেটা কিন্তু আমলাতন্ত্র। কাজেই যে সরকার যেটা আছে, তারা কিন্তু শপথ নিয়েছেন, সংবিধানিক অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবো, সমআচরণ করবো, পক্ষপাতিত্ব করবো না। উনারা বলেন নাই যে আমরা আমাদের দলকে আগামীতে আরও বেশি করে হেল্প করবো। আমার বিশ্বাস উনারা উনাদের শপথটা জানেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় অন্তত একটা সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের স্বার্থে উনারা নির্বাচনকালীন সরকারের থেকে সরকারের মতোই আচরণ করবেন। সরকারের মন্ত্রী হিসেবে কোনো দলের মন্ত্রী হিসেবে নয়।

নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার। অপজিশন থেকে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এই সব বিভিন্ন ধরনের সরকার, সেটা কিন্তু আমাদের বিষয় নয়। এটা সাংবিধানিক বিষয়। পলিটিক্যাল লিডাররা যদি একমত হন তারা বিষয়গুলো দেখবেন। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বর্তমানে যে আইন আছে, সেটাই নির্বাচনকালীন সরকার। তার সঙ্গে আমাদের ইন্টারঅ্যাকশন বেড়ে যাবে। একজন মন্ত্রী কিন্তু দলের নয়। আমরা চাই তারা আমাদের সহযোগিতা করুক।

সিইসি আরও বলেন, আইন-কানুন অনুযায়ী সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। সকল নির্বাচনে আমরা সরকারের কাছে সহায়তাগুলো চাইবো এবং অবশ্যই সরকার সে সহযোগিতাগুলো করবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, আমরা একই কথা বারবার বলেছি, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হওয়া খুবই প্রয়োজন। যদি মূল বিরোধী দল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ হোক, অস্বচ্ছ হোক, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে। কারণ ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন। বিরোধী দলে থাকেন তারা ট্রেজারি বেঞ্চ। তাদের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। এই সমালোচনার মাধ্যমেই কিন্তু এক ধরনের জবাবদিহি গড়ে ওঠে এবং সতর্কতা তৈরি হয়। এ জন্য আমরা চাই নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে বসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, উনাদের বলেছি, আপনারাও যারা পলিটিকস করেন না, পলিটিকসের ঊর্ধ্বে একটা অবস্থান আপনাদের আছে। প্রতিদিন যে আক্রমণাত্মক কমেন্টগুলো দিচ্ছে, সেখানে সরিয়ে নিয়ে এসে যদি টেবিলে মুখোমুখি করা যায়, তাহলে আলোচনা হবে গঠনমূলক। টেবিলের বাইরে গিয়ে যদি ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্য পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দেয়, তাহলে কিন্তু দূরত্ব কমবে না। কারণ আমরা চাচ্ছি নির্বাচনে সকল পার্টি অংশগ্রহণ করুক।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments