Friday, April 26, 2024
HomeScrollingদেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে প্রায় ১১ হাজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে প্রায় ১১ হাজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।

যেসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে অনেকগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যারা মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না, তাদের সতর্ক করা হবে। কাউকে সময় বেঁধে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা আনার জন্য, মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার জন্য এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হিসেবে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর। চলতি বছর ২ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকায় সেদিন দিবসটি পালন করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাদের পাশাপাশি ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন ও সব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপর আমাদের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা ছিল পাঁচ থেকে ছয় হাজার। এখন শয্যাসংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। স্বাধীনতার সময় আমাদের মেডিকেল কলেজ ছিল আটটি। এখন ১১০টি। আগে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। এখন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচটি। এসব সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতা অর্জনের কারণে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ‘৫০ বছরের ইতিহাসে তোফাজ্জল হোসেনই একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন, যিনি একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তাঁর পরে আর কোনো চিকিৎসক সচিবের পদে আসীন হতে পারেননি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments