প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে গ্রাহকদের প্রতি শাখায় না আসার আহ্বান জানিয়েছে ব্যাংকগুলো। জনসমাগম এড়াতে কয়েকটি ব্যাংক এধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়িয়ে লেনদেনও স্বাভাবিক থাকবে বলে দাবি করছেন ব্যাংকাররা।
শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জন। এমন অবস্থায় উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনলাইন ব্যাংকিং, অ্যাপ, মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে এরই মধ্যে আগাম সতর্কতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া জানুয়ারি-জুন সময়ে কেউ যথাসময়ে ঋণের কিস্তি জমা দিতে না পারলে তাকে খেলাপি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানি পণ্য ও রপ্তানি মূল্য দেশে আনার সময়সীমা ১২০ দিন থেকে বৃদ্ধি করে ১৮০ দিন করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক অন্যতম। গ্রাহকদের মোবাইলে খুদেবার্তার মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিক সেবা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে তারা।
সতর্কতার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে পালা করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন, ব্যাংক এশিয়া, দি সিটি, ব্র্যাক, এনআরবিসহ কয়েকটি ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি, আইডিএলসি, লঙ্কাবাংলা একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।