Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingজার্মানিতে ‘করোনা বিরোধী’ বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৩০০

জার্মানিতে ‘করোনা বিরোধী’ বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ৩০০

নভেল করোনাভাইরাস রোধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জার্মানির বার্লিনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

বিবিসি জানায়, বার্লিনের প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ শহরের রাস্তায় বিক্ষোভে যোগ দেয়। তবে শান্তিপূর্ণভাবে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

একটি র‍্যালি থেকে প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে কট্টর ডানপন্থী দুষ্কৃতকারীরা পাথর ও বোতল ছুড়ে মেরেছে বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।

নিরাপত্তাজনিত নিয়ম ভাঙায় বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের কাছে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পরে পাথর আর বোতল ছুড়ে মারার অভিযোগে ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন জায়গায় গাদাগাদি করে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে মাটিতে বসে পড়ে। পরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের দ্বিতীয় একটি দল প্রথম দলটির সঙ্গে যুক্ত হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ পালন করে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, বিক্ষোভকারীদের অনেকে কট্টর দক্ষিণপন্থী টি-শার্ট পরা ছিল এবং পতাকা বহন করছিল।

শনিবার বার্লিনে গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ছিলেন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্য খ্যাত লেখক অ্যাটিলা হিল্ডম্যান, যিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে লাউডস্পিকারে বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাইয়ের ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রও বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। বিক্ষোভে কিছু মানুষ জানান যে, তারা শুধু বিক্ষোভ করার স্বাধীনতা চান।

এদিন বিক্ষোভকারীরা জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে বাধা দেয় এবং গ্রেপ্তারও করে অনেককে।

বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং ১৬টি ফেডারেল রাজ্য মাস্ক না পরলে ৫০ ইউরো জরিমানার শাস্তি আরোপ করেন। পাশাপাশি জনসমাগম করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয় দেশটিতে।

ইউরোপের আরো বেশ কয়েকটি শহরে এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, করোনাভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের প্রবঞ্চনা।

লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারেও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা এবং ফাইভজি’র বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভকারীরা লকডাউন ও করোনা বিরোধী স্লোগান ও ব্যানার প্রদর্শন করে। ‘মাস্ক স্তব্ধ করার অস্ত্র’ এবং ‘নিউ নরমাল = নতুন ফ্যাসিবাদ’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন করে।

প্যারিস, ভিয়েনা এবং জুরিখেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments