ঈদের পরদিন নেত্রকোনার মদনে বিয়ের দাবিতে কীটনাশক হাতে নিয়ে অনশনে বসা সেই প্রেমিকার (১৯) ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
শনিবার দুপুরে এ মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মদন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাউল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১০ আগস্টে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিল সেই প্রেমিকা। ডা. জান্নাত আফরোজ নূপুরের স্বাক্ষর করা প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
জানা যায়, আট বছর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রুমেল ভূঁইয়ার সাথে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরিচয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন মন দেয়া নেয়ার পর ঈদের বেশ কিছুদিন আগে প্রেমিক রুমেলকে বিয়ের জন্য বলেন প্রেমিকা। প্রেমিকের পরিবার মেনে না নেওয়ায় প্রেমিকা ঈদের পরের দিন ২ আগস্ট সকালে প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। বিয়ে না করলে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি। এ খবর শুনে প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাটি গ্রামবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরের দিন ৩ আগস্ট সোমবার বিকেলে মদন উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে তার পরিবারের হেফাজতে রেখে আসেন। পরে তিনি বিয়ের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে ৮ আগস্ট সীমার ভাই নোবেল বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গত ১০ আগস্ট পুলিশ প্রেমিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সে মামলায় প্রেমিক রুমেল গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।