মেহেদী হাসান সোহাগ- মাদারীপুর ।।
গরমের ঠ্যালায় মাক্স পড়তে মন চায়না। মাক্স পড়তে পড়তে কান ব্যাথা হইয়া যায়। দুই দিন পর পরই মাক্স ছিড়ে যায়। এত মাস্ক কিনতে টাকা পামু কই। কামাই নাই, এরপর লোকডাইনে বের হলে রিক্সার ক্ষতি করে পুলিশ এমনকি লাঠি দিয়ে মাইর দেয়। ঘরে খাওন নাই মাস্ক কিনবো কেমনে’ এভাবেই আবেকতাড়িত হয়ে কথা গুলো বললেন মাদারীপুরের এক রিক্সা চালক করিম তালুকদার।
চলছে ২য় দফায় সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন। মাস্ক ব্যবহারে অনিহা দেখা গেছে মাদারীপুরের প্রায় প্রতিটি এলাকার মানুষের মধ্যে। কোনভাবেই মাস্ক ব্যবহারে শতভাগ অভ্যস্ত করা যাচ্ছে না সর্বসাধারণকে। বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি, জরিমানা করেও মিলছে না কাঙ্গক্ষিত ফলাফল। এদিকে করোনার সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলছে।
সরকারি লকডাউনের বিধিনিষেধ অনুযায়ী কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার জন্য সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মানুষ বের হতে পারবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পাবরে না। বাকি সময় বাইরে বের হলে সকলকে মাক্স ব্যাবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায়রেখে চলার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গনপরিবহন চলাচলের ব্যাপারে।
রবিবার বিকাল ও সোমবার মাদারীপুরের বিভন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্ন দিনের থেকে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেলেও অনেকেই ব্যবহার করছেন না মাস্ক। প্রশাসন এর পক্ষথেকে প্রতিনিয়ত মাইকিং করে মাক্স ব্যাবহারে কথা বলা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাক্স না পড়ার কারণে জরিমানা করা হচ্ছে। তাতেও আশানুরূপ ফল হচ্ছে না। এমনকি মাস্ক না পরে তারা দিচ্ছেন বিভিন্ন যুক্তি। অনেকে আবার শুধু লোক দেখানোর জন্য মাক্স মুখের নিচে ঝুলিয়ে রাখছেন। সচেতন মহল মনে করছেন, সরকার আরো কঠোর অবস্থানে না গেলে মাস্ক ব্যবহারে মানুষকে শতভাগ নিশ্চিত করানো যাবে না। করোনার সংক্রমন দিন দিন বেড়েই চলছে।
এক চায়ের দোকানদার বলেন, আমি পান খাই। মাক্স পড়লে পানের পিকে মাক্স লাল হয়ে যায়। মাক্স সাথেই আছে। পানটা খেয়ে তারপর মাক্স পড়মু।
মাটিকাটার এক শ্রমিক বলেন, আমরা সরাদিন কাজ করি করোনায় আমাদের কিছু হইবো না। মরলে মরলাম তারপরও মাক্স পড়া লাগবো না।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ডঃ রহিমা খাতুন বলেন, সবাইকে অবশ্যই মাক্স ব্যাবহার করতে হবে। যারা মাক্স ব্যাবহার করছে না তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে আমরা জরিমানা করছি। করোনা সংক্রমন কমিয়ে আনতে সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।