Tuesday, April 23, 2024
HomeScrollingকরোনায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু

করোনায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক |

(ডানে) বাবা ইয়াকুব আলীর (৭১) মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর ছেলে আজগর আলীও (৫২) মারা গেছেন।
করোনার থাবায় মৃত্যুর মিছিল ও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। হরিপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবা ইয়াকুব আলীর (৭১) মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর ছেলে আজগর আলীও (৫২) মারা গেছেন।

এদিকে সদর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আজাদ (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম খান বলেন, গত ২৫ জুন উপজেলার দনগাঁও গ্রামের ইয়াকুব আলী অসুস্থ অনুভব করলে প্রথমে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ওই দিনই ইয়াকুব আলীকে দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার করোনা শনাক্ত হয়।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ ৮ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরেও ইয়াকুব আলীর শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

তিনি জানান, ইয়াকুবের ছেলে শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজগর আলী গত ৩০ জুন বুধবার নিজ বাসায় জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রথমে তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করেন। রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।

এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার আজগর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনিও মারা যান।

এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ঠাকুরগাঁও শহরের শাহাপাড়ার তরুণ ব্যবসায়ী আবু কালাম আজাদ। শুক্রবার সকালে এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রীর বড় ভাই ইউনুস আলী মানিক।

তিনি বলেন, আবুল কালাম দুই সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। প্রথমে জ্বরের চিকিৎসা করছিলেন। জ্বর ভালো না হওয়ায় তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসে।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে  আরও ১২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৫০৯ জনে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৩ জন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments