Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingকমলাপুর স্টেশন সরিয়ে নিতে রাজি রেল কর্তৃপক্ষ

কমলাপুর স্টেশন সরিয়ে নিতে রাজি রেল কর্তৃপক্ষ

মেট্রোরেলের কারণে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কমলাপুর স্টেশন সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান বিষয়টি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রেল ভবনে এ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কারিগরি দিক তুলে ধরে জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা করপোরেশনের নেতৃত্বে একটি সাবওয়ার্কিং গ্রুপ।

রেলের মহাপরিচালক বলেন, কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব গড়ে তোলা হবে, যা শাহজাহানপুরসহ আশপাশের রেলের জায়গাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশনের আদলেই নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। বাস্তবায়ন শেষ হতে ১০ বছর লাগতে পারে।

তিনি জানান, মেট্রোরেলের কারণে কমলাপুর স্টেশন আড়ালে পড়ে গেলে এর সৌন্দর্য আর থাকবে না। তাই সরিয়ে নেয়াই উত্তম বিকল্প।

গণমাধ্যমের খবর, বর্তমান স্থানে স্টেশনটি থাকলে নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেলের স্থাপনার আড়ালে পড়ে যাবে। কমলাপুর স্টেশনকে ঘিরে নেওয়া মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণ প্রকল্পও বাধাগ্রস্ত হবে। এসব বিবেচনায় স্টেশনটি কিছুটা উত্তরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা দিয়েছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্টেশন ভবনটি ভাঙা পড়বে।

উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। এর শেষ স্টেশনটি পড়েছে কমলাপুর স্টেশনের ঠিক সামনে।

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, মেট্রোরেল কমলাপুর স্টেশনের সৌন্দর্যহানি ঘটাতে পারে বলে রুট পরিবর্তন করা হোক। কিন্তু মেট্রোরেলের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) রুট পরিবর্তন করতে চাইছিল না।

তবে শেষ পর্যন্ত কাজিমা করপোরেশনের নকশা ধরে কমলাপুর স্টেশনটিই ১৩০ মিটার উত্তরে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছে। আগের ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে। এতে মেট্রোরেলেরও কোনো পরিবর্তন করা লাগবে না। এখন প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হবে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রোরেল পরিকল্পনা মতোই হবে। এখন স্টেশন সরানোর বিষয়টি একান্তই রেলের বিষয়। যেভাবে করলে ভালো হয়, রেল সেভাবেই পরিকল্পনা করবে।

কমলাপুর স্টেশন ভবনটি ৬৭ বছরের পুরোনো। এটি রেলের আইকনিক ভবন হিসেবে বিবেচিত। এর সঙ্গে সংস্থাটির আবেগ জড়িয়ে আছে। এ জন্য মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনেই বেশি জোর দিয়েছিল রেল। কিন্তু এ বিকল্প ব্যয়বহুল বলে স্টেশনটি সরিয়ে একই ধরনের ভবন তৈরির বিকল্পে সায় দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে স্টেশনের ভেতরে থাকা বিদ্যমান রেললাইনও সরাতে হবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments