করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ায় আদালত পরিচালনা বিষয়ে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এর আগে গত ৩০ জুন আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করে ৭ জুলাই ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এ সংক্রান্ত গত ৩০ জুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুলাই থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছেন।
এনআই অ্যাক্টসহ যেসব মামলা বা আপিল করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব মামলায় শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট খোলার সাত দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ রয়েছে মর্মে গণ্য করা যাবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে অযথা না আসার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারি হয় যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়াও সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা সংক্রান্ত গত ৩০ জুনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশনার কার্যকারিতা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিচারপতি, আইনজীবীবৃন্দ, সহায়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ নিজ বাসগৃহ থেকে ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রমে সংযুক্ত হবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে কার্যক্রম চলছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ দিনের সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে এই বিধিনিষেধে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।