Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingকখনোই বিএনপি-জামাতকে পূর্নবাসন করি নাই, বরং ২০১৫ সালে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলাম-...

কখনোই বিএনপি-জামাতকে পূর্নবাসন করি নাই, বরং ২০১৫ সালে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছিলাম- শাজাহান খান

মেহেদী হাসান সোহাগ- মাদারীপুর।।

যারা মিথ্যের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করে তারা সবই মিথ্যা বলে এই রাজনীতি টিকবে না। আমি কখনোই বিএনপি জামাতকে পূর্নবাসনতো দুরের কথা আমি তাদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে ছিল কে’ তারা কি দাড়িয়েছিল ? দাড়িয়েছিলাম আমি। জীবনের ঝুকি নিয়ে ফাইট করেছিলাম আমি। তারা তখন কোথায় ছিল।’’

তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামীলীগের কর্মীরা ব্যবসা করে দাড়িয়েছে। বিএনপির কর্মীরা কি দাড়িয়েছে। বিএনপির কর্মীর সাথে আমাদের কোন ব্যবসা নাই। এ সব মিথ্যা কথা বলে মানুষের মন গলানো যাবে না।’ এসব কথা যারা বলে, তাদের কথা ১০০ ভাগ মিথ্যা। গতকাল রাতে জেলা আওয়ামীলীগের দেয়া বক্তব্যের উত্তরে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মাদারীপুর -দুই আসনের এমপি ও সাবেক সফল নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

সাম্প্রতিক রাজৈর উপজেলার একটি আলোচনা সভায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাবদ্দিন মোল্লা, মাদারীপুুর- ২ আসনের এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পিতা মৌলভী আচমত আলী খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন এবং মাদারীপুরে সংসদ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠসহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন তাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন, সেখানে বলেন, তার পিতা নামে সব কিছু করেছেন, তাছাড়া তার পিতার নামে স্বাধীনতা পদক এনেছেন। সেতো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। একথার প্রেক্ষিত্রে গত রবিবার বিকালে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিবাদ সভা করেন সেখানে জেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কার দাবী জানান এবং সোমবার রাতে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ৬দফা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় মাদারীপুুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, শাজাহান খান মাদারীপুরে জামাত-বিএনপিকে পুনর্বাসন করেছেন।

শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগালি করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে আপনি জামাত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন, তাদের পূর্ণবাসন করছেন। এসব কিন্তু ভাল লক্ষণ না। আমার কাছে এসবের প্রমাণ আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরে আপনি তাদের সহযোগিতা না করে। অথচ আপনি সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির লোকদের সহযোগিতা করেন। তাদের লাখ লাখ টাকা দেন সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং অন্যটির নেতৃত্ব দেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বাহাউদ্দিন নাসিমের অনুসারী।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments