ভিটালি ক্লিটসকো এক অনলাইন পোস্টে বলেছেন, উদ্ধারকর্মী এবং চিকিত্সকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা এবং বিশেষভাবে কীসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত রাতে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো কিয়েভে হামলা চালানো হল। রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ ধরে তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠল কিয়েভ।
এমনকি শনিবার সকালে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে। বিবিসি বলেছে, ওই হামলার ভয়াবহতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, ওই হামলা কতটা ভীতিকর ছিল তা কোনো শব্দেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে ইউক্রেনের হামলা এবং কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি ধ্বংস করার পর এই হামলা চালানো হল। শুক্রবারই রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে তাহলে কিয়েভের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ সকালে ইউক্রেনের রাজধানীতে একটি সামরিক কারখানাকে লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ১৬টি লক্ষ্যবস্তুতে উচ্চমাত্রায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সামরিক সরঞ্জাম, গুদাম এবং অস্ত্রাগারে এসব হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও জানান যে, দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভের একটি সামরিক সরঞ্জাম মেরামতের কারখানায়ও হামলা হয়েছে।
ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলেছে, রাশিয়া কিয়েভের একটি যুদ্ধ যানের কারখানার উৎপাদন ভবন এবং মাইকোলাইভ শহরে একটি সামরিক যান মেরামতের ভবন ধ্বংস করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স আরও জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ ওব্লাস্টের ইজিয়াম শহরের কাছে একটি ইউক্রেনীয় এসিইউ-২৫ বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
গত বুধবার কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ মস্কভায় হামলা চালায় ইউক্রেন। এর পরই কিয়েভে হামলা জোরদারের হুমকি দেয় রাশিয়া।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার আজ ৫১তম দিনে গড়িয়েছে। হামলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৫০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ত্যাগ করে। রুশ সেনারা কিয়েভ ছেড়ে চলে যাওয়ায় তারা ফিরতে শুরু করেছেন। দেশ ত্যাগ করা আট লাখ ৭০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ সাহায্য সমন্বয় অফিস ওসিএইচএ জানিয়েছে, প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ ইউক্রেনে ফিরে আসছেন।