Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingঅ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাকে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছেন। তিনি কিডনিতে সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ৩ জানুয়ারি তিনি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হন। ওই সময় তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তার মুখের বাঁ পাশ বেঁকে যায়।

সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাবার শরীর প্রচণ্ড খারাপ হলে তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। পরে প্রচণ্ড খিঁচুনি ওঠায় তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রায় তিনযুগ ধরে আইনপেশার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সানাউল্লাহ মিয়া। ১৯৭৯ সালে ঢাকা সিটি কলেজে ল’ পড়ার সময়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৮২ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালে তাকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য করা হয়। ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ আইনজীবী হওয়ার পর ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের সহ-আইন সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৩ সালে মহানগরের আইন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে তিন মাসের জন্য ঢাকা জজকোর্টে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) করা হয় তাকে। তখন তার দায়িত্ব ছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা। দলের জন্য আইন অঙ্গণে ও রাজপথে সক্রিয় সানাউল্লাহ মিয়া নিজ এলাকা নরসিংদী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় থেকে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের দেখা পাননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন সানাউল্লাহ মিয়া এবং তার অনুসারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হন তিনি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments