Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingঅসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীর নিবাস’

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীর নিবাস’

ভিটেমাটিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। এসব ‘বীর নিবাস’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছেন। সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়, এর বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারীসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুন-আল-রশিদ বলেন, শুধুমাত্র এ প্রকল্পটি নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোট ছয়টি অনুশাসন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রথমে ১৪ হাজার বীর নিবাসের প্রস্তাব থাকলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব মুক্তিযোদ্ধারই সাধারণত ভিটেমাটি আছে। কিন্তু যাদের একান্তই কোনো ভিটেমাটি নেই, তাদের জেলা প্রশাসক বা ইউএনওর মাধ্যমে জমির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও ইউএনওরা যেন প্রয়োজনে প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড় করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটির মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুনের পরিবর্তে অক্টোবর পর্যন্ত করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ও অর্থায়নে যাতে চাপ না থাকে সেজন্য চলতি অর্থবছর থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। চার অর্থবছর মিলেই যেন টাকাটা ছাড় দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থ সরবরাহ বেড়ে যাবে।

পরিকল্পনা সচিব মো. জয়নুল বারী জানান, গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পর এবার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা পাকা ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নিজ ভিটায় দুই বেড, দুই টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেওয়া হবে। আর যাদের নিজস্ব জমি থাকবে না তাদের সরকারি খাস জমিতে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৫১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ৫৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৪২ কোটি ৭ লাখ টাকা।

গতকালের সভায় ‘রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (আরসিসি)।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেক সভা অনুমোদন দিয়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ‘কনস্ট্রাকশন অব নিউ ১৩২/৩৩ কেভি অ্যান্ড ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন আন্ডার ডিপিডিসি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments