মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্পিডবোট চলাচল ঠেকাতে এবার স্পিডবোটের পাখা খুলে নিয়েছে শিবচর উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্ব বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় নোঙর করা প্রায় ৩৯ টি বোটের পাখা খুলে নেয়া হয়।
জানা যায়, করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে অবৈধভাবে পারাপার ঠেকাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে গত সোমবার কাঁঠালবাড়ি ঘাটে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ যাত্রী নিহত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন। আজ দুপুরে ঘাটে নোঙর করা স্পিডবোটগুলোর পাখাও খুলে নেয় প্রশাসন। এতে করে ঘাটে স্পিডবোট চলাচলের আর সুযোগ থাকছে না।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ছাড়তে পারবে না। ইতিমধ্যেই স্পিডবোট ও ট্রলারের পাখা খুলে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্পিডবোটে নির্ধারিত আসন তৈরি করে যাত্রী পারাপার করতে হবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও চালকদের তিন মাস অন্তর অন্তর ডোপ টেস্ট করা হবে। মাদকাসক্ত এবং ১৮ বছরের নিচে কাউকে কোন অবস্থাতেই চালক হিসেবে রাখা যাবে না।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিরাজ হোসেন ও বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের মালিক সমিতির সভাপতি ও শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার।