ধাপেরহাট এলাকার পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার একটি নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সুবাদে ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে একেরপর এক প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে যৌন হয়রানীর অভিযোগে ধর্মীয় (কাব্যর্তীথ) শিক্ষক গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট হাসানপাড়া (বাজারপাড়া) গ্রামের শ্রী অনিল চন্দ্র মহন্তের পুত্র অনুপ চন্দ্র মহন্ত’কে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেছেন ১০/১২ জন অভিভাবকের অভিযোগ ছাড়াও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ৩ ডজন নারী কেলেংকারীর অভিযোগ। পীরগঞ্জ উপজেলার ওই নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জানান,প্রায় ৮ বছর পূর্বে অনুপ কুমার মহন্ত ধর্মীয় (কাব্যতীর্থ) শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে কৌশলে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানী করেছেন মর্মে ভূক্তভোগী ছাত্রীর ১০/১২ জন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি চলতি মাসের ১২ জুলাই জরুরী মিটিং আহবান করেন এবং অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
তিনি আরও জানান,শিক্ষক অনুপ চন্দ্র মহন্ত প্রায় ৩/৪ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন। বিয়ের পর থেকেই একের পর এক নারী কেলেংকারীর ঘটনা ফাঁস হতে থাকে। বন্ধুর বোনও রেহাই পায়নি তার যৌন লালসা থেকে। এ ব্যাপারে মতামত নেয়ার জন্য ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৯~৯৪৬৯০৪ নম্বরে বার বার ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পক্ষে বিপক্ষে কোন কথা বলতে রাজি হননি। পরপর দু’দিন যোগাযোগের চেষ্টা করে অবশেষে ফোন দিয়ে একই জবাব পাওয়া গেছেন,তিনি রোগী নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত আছেন। ঘটনাটি নিয়ে ফুৃ সে উঠেছে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়ায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কা বোধ করছেন।