Saturday, April 20, 2024
Homeআন্তর্জাতিকঅক্টোবরেই আসছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন

অক্টোবরেই আসছে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে ১৩টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিউম্যান ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়নের প্রাথমিক ধাপে রয়েছে আরো ১২০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে যুক্তরাজ্য, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানির মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতাও চলছে। কে কার আগে ভ্যাকসিন আনছে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

এর মধ্যে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিজ্ঞানীরাও এই ভ্যাকসিনটিকেই অগ্রগামী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট জানায়, আগস্ট মাসের শেষ দিকে জানা যাবে অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল। এতে বোঝা যাবে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনটি কতটুকু কার্যকরী। পরীক্ষায় একবার সফলতার প্রমাণ পাওয়া গেলেই জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিয়ে দেবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে অক্টোবরের মধ্যেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ করোনা রোগীরা অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, আশা করা যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিনহ্যাম বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে অক্সফোর্ড। অন্য ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হয়ে যেতে পারে।

ইতিমধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত ও বিস্তৃত আকারে সরবরাহের জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। বাজারজাতকরণের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

কোম্পানিটি জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির নির্দেশনা পেয়েছেন তারা। ভ্যাকসিনটির দাম থাকবে মানুষের হাতের নাগালে। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম হতে পারে এক কাপ কফির দামের সমান।

তবে এই ভ্যাকসিন এক বছর পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে বলে জানান অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকল সারিওট। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এর ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ফল জানা যাবে। এরমধ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবর মাসেই ভ্যাকসিনটির সরবরাহ শুরু করা যাবে।

গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু হয়। অক্সফোর্ডের গবেষকেরা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেন। এরপর দ্রুত বড় আকারে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেন তারা।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে গোটা বিশ্ব গলদঘর্ম হচ্ছে। বর্তমানে মোট ১৪৭টি ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। এদের মধ্যে ১৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং বাকি ১২৯টি প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মানুষের হাতে পৌঁছতে কমপক্ষে আরও ৮ মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেই টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইতোমধ্যে তারা প্রাণীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফলতা পেয়েছে এবং একইভাবে মানবদেহেও এর সফলতা পাওয়া সম্ভব।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments