Wednesday, April 24, 2024
HomeScrolling২৫ নারী শ্রমিকের প্রাণ বাঁচালেন তাজুল

২৫ নারী শ্রমিকের প্রাণ বাঁচালেন তাজুল

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো ৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ভবনের পঞ্চম তলায় থাকা ২৫-৩০ জন শ্রমিককে দড়ি দিয়ে ছাদ থেকে নিচে নামিয়ে বীরত্বে পরিচয় দিয়েছেন তাজুল ইসলাম। যে ২৫-৩০ জন শ্রমিক তিনি নামিয়েছেন, তাদের কেউ আহত হননি।

শ্রমিকদের ছাঁদ থেকে নামাতে গিয়ে তাজুল ইসলাম নিজেই কিছুটা আহত হন। তাজুল ইসলাম ওই ভবনের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি জানান, বিকেল ৫টার দিকে তিনি ওই ভবনের ৫তলায় ইলেকট্রিক্যাল কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চারদিকে ছুটতে থাকেন।

এ সময় আগুন লাগার খবরে ৫তলার শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে চলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওপরে দড়ি পাঠালে তাজুল ইসলাম একাই ২৫-৩০ জন নারী শ্রমিককে নিচে নামিয়ে আনেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই কাজটি করেছি। আমি নিজেই এখন একটু অসুস্থ। তাই আর আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না।’

এদিকে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ ও জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল ইসলাম।

সকাল ৮টায় রিপোর্ট লেখার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ডেমরা, কাঞ্চন, আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৮টি ইউনিট।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত  স্বপ্না আক্তার (৪৫), মীনা আক্তার (৪১) ও মোরসালিন (২৮) নামের তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তবে ৭০-৮০ জন শ্রমিক এখনো ওই ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন বলে জানান অন্য শ্রমিক ও নিখোঁজের স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো আগুন নেভাতে ছুটে যায়। পরে ঢাকার ইউনিটগুলোও যুক্ত হয়।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments