প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও হচ্ছে না এ বছর। তবে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর আগে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্দেশনা চেয়ে এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিল, সেটি অনুমোদন হয়ে ফিরে এসেছে।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না।
তখন তিনি এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরও এসব পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়। তবে এবার ইতিমধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন প্রাথমিকেও বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হতে যাচ্ছে।
এদিকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটের (জেএসসি) মতো কোনো পরীক্ষা রাখা হয়নি। নতুন শিক্ষাক্রম আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে এবং পরের বছর (২০২৩) থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
২০০৯ সাল থেকে পিইসি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। পরে মাদ্রাসার সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও চালু করা হয়। আর ২০১০ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা চালু হয়।