সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আজ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১২ হাজার ৯৭০ জন। যদিও গত ১৭ আগস্ট কর্মসূচিটি চালুর এক মাস পূর্ণ হয়েছে। ন্যাশনাল পেনশন অথরিটি (এনপিএ) এটিকে ‘ভালো সাড়া’ বলে অভিহিত করে গ্রামীণ ও শহর উভয় এলাকায় সবার কাছে পৌঁছাতে প্রচার বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনপিএ সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, মানুষ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় তালিকাভুক্ত হচ্ছে যা এই প্রকল্পের একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।
তিনি আরও বলেন, মানুষ তাদের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিবন্ধন করেন এবং টাকা জমা দেওয়ার আগে বিষয়টি বুঝতে সময় নেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা বলেন, কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হওয়ার পেনশন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো হয়রানির সম্ভাবনা নেই, কারণ সরাসরি মানুষের হস্তক্ষেপের সুযোগ ছাড়াই সবকিছু ডিজিটালি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি উপ-স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চালু করেছে সরকার।
পেনশনের নিয়ম অনুসারে, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়, কেউ যত বেশি টাকা জমা হিসেবে রাখবে, মেয়াদ শেষে তারা তত বেশি পেনশন নিতে পারবে।
অন্যদিকে এই উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হবে না। নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমা দেবেন, তাদের জন্য শুরুতে সরকার থেকে আরও ৫০০ টাকা ভর্তুকি থাকবে। সমস্ত স্কিমগুলোতে, নির্দিষ্ট সময়ের শেষে প্রত্যেকের জন্য অতিরিক্ত কয়েকগুণ লাভ থাকছে।
Leave a Reply