আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের ভেতরের সকল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৬ বছর নির্বাসনে থেকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দেশের মাটিতে পা রেখেই কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা সারা বাংলায় ঘুরে ঘুরে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গোটা জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই সকল ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামী মাসেই পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা সাপেক্ষে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা নদীতে প্রবল খরস্রোতা থাকায় নদীর এপার-ওপার ভাঙা গড়ার খেলায় অনেক কষ্টে এই ভাঙনের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শতভাগ সততার সাথে এই প্রকল্প কাজ শেষ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সফলভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রমুখ।