মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুই সন্তানের বাবা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের পরিবারের করা পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে তার কার্যালয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে বাবুলের পরিবার আবেদন করে মাগুরায় জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে শিশু আইন মেনে দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, বাবুল আক্তারের দুই সন্তান বর্তমানে মাগুরায় তার দাদা আবদুল ওয়াদুদ ও চাচা হাবিবুর রহমানের কাছে আছে। করোনা মহামারির কারণে দেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মাগুরা থেকে চট্টগ্রামে তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিশুদের আনা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্ধারণ করা হলো। তবে লকডাউনের কারণে সেটি বন্ধ থাকলে মাগুরা জেলা সদর থানায় তদন্ত কর্মকর্তা শিশু আইন মেনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের কমপক্ষে তিন দিন আগে শিশুদের দাদা কিংবা চাচাকে জানাতে হবে তদন্ত কর্মকর্তার।
২০১৬ সালের ৫ জুন বড় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিল ১২ বছর বয়সী বড় ছেলে। মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ডিবি পুলিশের পর গত বছরের মে মাস থেকে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। চলতি বছরের ১২ মে এ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এতে বলা হয়, তিন লাখ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান বাবুল। ওই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৭ মে থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।