আরিফুল হক,লালমনিরহাট সংবাদদাতাঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সহজ সরল লোকজন জ্বীনের বাদশা’র খপ্পরে পরে লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন একাধিক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।প্রতারণার অভিনব ফাঁদ থেকে বাদ পরেনি বিকাশ এজেন্ট।
করোনাকালে মানসম্মত ত্রানের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হবে সরকারিভাবে। মন্ত্রনালয় থেকে এসব ত্রানের প্যাকেট নিতে গোপনে লেনদেন করলে আরও বেশি বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন রুপকথার গল্প শুনিয়ে পাটগ্রাম পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সীলর সাহেরা বাবুলের ফোনে কল করেন জ্বীনের বাদশা।সাধাসিধে মনে তিনি ও তার স্বামী জাপা নেতা সিনিয়র শিক্ষক কুদরত ই এলাহী বাবুল তা বিশ্বাস করে বিকাশের মাধ্যমে জ্বীনের বাদশা’র মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে থ’বনে গেছেন বলে গোপন খবর চাওর হয়ে গেছে।ত্রানের প্যাকেট তো দূরের কথা টাকা নেয়ার পর থেকে জ্বীনের বাদশা’র মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।এমন প্রতারণার শিকার হবেন একজন পৌর কাউন্সীলর তা ভাবতে পারেন না কেউ।ঘটনাটি গত মাসের হলেও আজও সচেতনমহলকে ভাবিয়ে তুলে।
এদিকে,পাটগ্রাম পৌরসভার বাইপাস মোড় এলাকার মেসার্স ইয়াজিদ ট্রেডার্স নামে এক দোকানে বিকাশ নগদ এজেন্টের ব্যবসা করেন তরুণ ব্যবসায়ী জাবিতবিন সাবিত মিলন।
তার ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিলকে দোকানে রেখে দুপুরে বাসা যান।ব্যবসার নিয়ম অনুযায়ী বিকাশ প্রতারণা এড়াতে ছোট ভাইকে আগাম সাবধান করেন বড় ভাই।
তারপরও গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিকাশ নম্বরে একটি কল আসে বিকাশ আপডেট করা হবে।বিকাশ কোম্পানীর লোক পরিচয়ে বেশ তাড়াহুড়ো করে বিকাশ নম্বরটিতে কিছু সংখ্যা টিপতে বলা হয়।না বুঝে সে সময় দোকানদার ইব্রাহিম খলিল তার বিকাশ নম্বরটি আপডেট করার জন্য প্রতারণার খপ্পরে পরে যা যা করতে বলে তা করতে থাকেন।এসময় বিকাশ নম্বরে থাকা ৬৬ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম দফায় ২৯ হাজার ৯৯৮ টাকা বের করে নেন।এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৯ হাজার টাকা বের করে আবার বিকাশে ক্যাশ লোড করতে বলায় আরও ১০ হাজার টাকা লোড নেন দোকানদার।তৃতীয় দফায় ৫ হাজার এবং চতুর্থ দফায় নেন ১০ হাজার টাকা।এভাবে নিতে নিতে ৭৬ হাজার ৫ ‘শ টাকা নেয়ার পর আবারও যখন লাখ টাকা পূরণের কথা বলে ২৪ হাজার টাকা লোড করতে বলে তখন ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল বড় ভাই মিলনকে কল করেন।
ততক্ষণে দোকানে এসে মিলন দেখেন তার বিকাশের ক্যাশ শূণ্য।
উপজেলার শ্রীরামপুর কাউয়ামারী বাজারের এক ব্যবসায়ী কোন কিছু না বুঝে জ্বীনের বাদশা’র মোবাইল কলে গ্রামীণ সীম এর লটারীতে একটি কার’ পেয়েছেন এমন খবর শুনে ৩৩ হাজার টাকা পাঠানোর পর প্রতারণার খপ্পরে পরেছেন বলে পরে নিজে নিজে টের পান।
এসব ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় জিডি করার কথা জানা গেছে।
পাটগ্রাম থানা ওসি সুমন কুমার মহন্ত এসব ঘটনা শুনেছেন।আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।তিনি সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।
LN/Arif
Leave a Reply