জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে ভালোবেসে অনেকেই নানা ধরনের নানা বিশেষণে অভিষিক্ত করেন। কিন্তু চঞ্চল বিনয়ের সঙ্গে জানালেন, বড় বিশেষণে তিনি অস্বস্তিবোধ করেন।
দেশ রূপান্তরকে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন। এটা আমার সৌভাগ্য। তবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই আমাকে ‘কিংবদন্তি’ বিশেষণ দিয়ে দেন। কিন্তু আমি মনে করি এই বিশেষণ ধারণ করার মতো যোগ্যতা এখনো অর্জন করিনি। হুমায়ূন ফরীদিকে বলা ঠিক আছে। বা এই ধরনের গুণী শিল্পীদের ক্ষেত্রে এই বিশেষণ ঠিক আছে। কিন্তু আমি এখনো কাজ করছি। আরও বিশ বছর পর বা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যদি মাঠে টিকে থাকি তখন না হয়তো বলা যেতে পারে। কিন্তু এখন এই ধরনের বিশেষণ শুনলে অস্বস্তি তৈরি হয়।’
এদিকে সম্প্রতি উত্তরার একটি শুটিং স্পটে একটি এক বালক ভক্ত তাকে চমকে দেন। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গান গেয়ে চমকে দেন অভিনেতাকে। সেই বালক ভক্তের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তটি ফেইসবুকেও শেয়ার করেছেন তিনি।
চঞ্চল ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেন, ‘অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন। যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে ‘কিংবদন্তি’ অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করে অনেকেই অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাতে আমি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে, অনেক বেশি বিব্রত হই। সোজা সাপটা কথা বলি, আসলে এত বড় ‘বিশেষণ’ ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই।‘অভিনেতা’ বা ‘ প্রিয় অভিনেতা’ এটুকু বললেই আমি মহা আনন্দিত বা আহ্লাদিত হই।’
ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘সকলের অবগতির জন্য বলি, জীবিত কালেই যদি সকল ‘উপাধি’এবং ‘বিশেষণ’ প্রদান শেষ হয়ে যায়, তাহলে মৃত্যুর পরে দেওয়ার মতো এরকম ‘বিশেষণ’ বা ‘উপাধি’র আকাল হবে। একজন মানুষকে অতি প্রশংসায়, এমন উঁচুতে কখনো তোলা উচিত নয়, যাতে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে তার ঠ্যাং হাত পা ভেঙে যায়, কারণ- একজন মানুষ যত বেশি প্রশংসিত হন, তার গালি খাওয়ার রাস্তাটিও ততই সুপ্রশস্ত হয়। আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপাধি ‘একজন ভালো মানুষ’।
এদিকে বালক ভক্তের সঙ্গে শেয়ার করা ভিডিও নিয়ে তিনি বলেন, ‘নিচের ভিডিও তে যে ছেলেটাকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ওর নাম ‘হৃদয়’। কিছুদিন আগে উত্তরায় একটা শুটিং লোকেশনে ওর সাথে দেখা, দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। তারপরের অংশটুকু আমার মেকআপ আর্টিস্ট মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিল। এত মানুষের ভালোবাসা, এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।’