নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানা নির্মাণে কোনো নির্দেশনা মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে.ক জিল্লুর রহমান।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা গতকাল ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করি। পরে নতুন করে আর কোনো মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি। একটি কারখানা নির্মাণ করতে হলে ওয়াটার রিজারর্ভার প্রয়োজন থাকে। এই কারখানায় কোনো ওয়াটার রিজার্ভার পাওয়া যায়নি। এই ভবনটির আকার অনুযায়ী ৪/৫টি পরিমাণ ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল।
ভবনে দুটি এক্সিট পয়েন্ট থাকলেও উত্তর পাশের একটি এক্সিট পয়েন্টে মেশিনারিজ ও মালামাল রেখে বন্ধ করে রাখা ছিল।
ভবনটিতে কোনো বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। ভেতরে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লেগেছে। আমাদের উদ্ধার কাজ বিকেল পর্যন্ত চলবে; তারপর থেকে আমাদের তদন্ত শুরু হবে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটির পঞ্চম তলার ছাদের মাঝে ১৫ ফুটের মতো ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্নগোপ এলাকার সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানার পূর্বদিকে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই তিনজন নিহত হয়। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে কারখানাটির চতুর্থ তলার দক্ষিণ পূর্ব পাশ থেকে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
লাশগুলো পুড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এতে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া নিহতদের মাঝে বেশির ভাগই ছিল ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী বলে জানা গেছে।