অনলাইন ডেস্ক।।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১১, কুমারখালী ও দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন করে করোনাক্রান্ত ও ২ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
একই সময়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৬৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২৩ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ।
হাসপাতালের সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে করোনা পজিটিভ নিয়ে ১৫৬ জন এবং উপর্সগ নিয়ে ৫৪ জন মোট ২১০ জন কুষ্টিয়ায় করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময়ে গ্রামাঞ্চলে সংক্রমিত রোগীদের অসচেতনতাকে অধিক মৃত্যু হারের জন্য দায়ী করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা আক্রান্ত হয়েও সময়মতো নমুনা পরীক্ষা না করা এবং অক্সিজেন লেভেল একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকে যাচ্ছে তখনই আসছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে আসার পর এসব রোগীদের সব রকম চিকিৎসা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৬৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২২৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ।
এ সময়ের মধ্যে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। এর মধ্যদিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০৮ জনে।