মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর জেলার ৩০ হাজার মানুষের ঈদুল আযহা উদযাপিত । করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এলাকার দুটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার(২০জুলাই) সকাল নয়টায় জেলার কালিকাপুর ইউনিনের তাল্লুকচরের দুটি জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে দেশের মহামারি ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এরপর এলাকায় কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে কোলাকুলি শেষে নিজেদের বাড়ীতে গরু কুরবানী দেয়া হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মঙ্গলবার ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। বুধবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মাদারীপুরে হযরত সুরেশ্বরীর (রহ.) ভক্ত-অনুসারী ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আগে ঈদুল আযহা উদযাপন করতো কিন্তু দিনে দিনে সেটা কমে এসেছে এবার দুরের তেমন কেউ ঈদের জামাতে না আসলেও কয়েক হাজার মানুষ এ ঈদ উদযাপন করছে বলে জানান ভক্ত – অনুসারীরা। তবে আগের চেয়ে অনেকটাই কমে এসেছে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে মাদারীপুর ঈদ উদযাপন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন জানান, সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ’ বছর আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার মুসলিম ঈদুল আযহা উদযাপন করছে।