আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের নিকট থেকে ইস্তেফাপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়াসহ ৭ মাস যাবৎ তার বেতনভাতা স্থগিত করেছে প্রধান শিক্ষক। আর এমন অভিযোগ এনে ও তার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী বেলাল উদ্দীনের স্ত্রী মাহফুজা আকতার।
অভিযোগে প্রকাশ,বিগত ১৯৯৫ সালের পহেলা জানুয়ারী ওই বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন বেলাল উদ্দিন এবং ২০০১ সালে এমপিওভূক্ত হয়ে সুনামের সহিত মহান শিক্ষকতা পেশার চাকুরী করে আসিতেছিলেন। এদিকে গত ২৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে তিনি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রংপুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন আছেন।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে মানবিক দিক চিন্তা করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেতনভাতা প্রদান করা হয়।
এমনি অবস্থা চলা কালে
প্রধান শিক্ষক তাকে চাকুরী থেকে অবসর নিতে চাপ সৃষ্টি করেন। তাতে বেলাল উদ্দীন রাজি না হলে
গত ১৯ এপ্রিল/২২ প্রধান শিক্ষক তার পক্ষের লোকজন নিয়ে বেলাল উদ্দিনের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে অবসর ও কল্যাণের টাকা পাবে না বলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার পরিবাবের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে চাকুরীর ইস্তেফাপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয় বা বাধ্য করেছেন বলে বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী মাহফুজা আকতার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো জানান,তার স্বামীর পোস্টটি শূন্য ঘোষণা করে নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়,আরো দুইজন কর্মচারীরও বেতনভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তারাও অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে,গত প্রয় ৮ মাস যাবৎ বেতনভাতা না পেয়ে আর্থিক অনটনের কারণে কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে দুঃসহ সময় অতিক্রম করছেন বলে জানান বেলাল উদ্দিনের পরিবার।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কামরুল আহসান সোহেল জানান,কারো কাছে জোরপূর্বক ইস্তফাপত্রে সহি স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। তিনি চাকুরী করতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে চাকুরী হতে ইস্তফা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কল্লোল প্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রধান শিক্ষক আমার সাথে কোন সমন্বয় করেনি।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মাহতাব হোসেন জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply