ইরানের পুলিশের সঙ্গে দেশটির একটা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, অসংখ্য শিক্ষার্থী তেহরানের শরিফ ইউনিভার্সিটির গাড়ি রাখার স্থানে আটকে পড়েছে। সোশাল মিডিয়াতে যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের বন্দুকের গুলির কারণে ছাত্ররা দৌড়ে পালাচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরানজুড়ে যে প্রতিবাদ চলছে তা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ। সোশাল মিডিয়ার একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ছাত্ররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দূর থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্য একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটা গাড়িতে যারা বসে ভিডিও করছিল তাদের গুলি করতে মোটরবাইকে করে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা আসছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল সাইটসের খবরে বলা হচ্ছে ছাত্রাবাসগুলোতে পুলিশ হামলা করেছে এবং গুলি করেছে। অন্য একটা খবরে বলা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, রোববার (২ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সংঘর্ষের খবর শুনে ক্যাম্পাসের প্রধান দরজায় বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা বিবিসি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।
গত দুই রাতে তেহরান এবং দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। ইরান হিউম্যান রাইটস, নরওয়েভিত্তিক একটা এনজিও বলছে ইরানজুড়ে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণী পুলিশের কাছে আটক এবং নির্যাতনের পর কোমায় চলে যায়।নিরাপত্তা হেফাজতে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এই তরুণী পোশাক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
পুলিশি হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে এই তরুণীর মৃত্যু ঘটে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগ করা হয়, যে অভিযোগ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ বলেছে তার ওপর কোন নির্যাতন করা হয়নি তার হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।