পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি দেশ রূপান্তরকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, দুদিন আগেই আমি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি।
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলেও সমস্যা হয়েছে আমার হুইল চেয়ার নিয়ে। আমি তো হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারি না। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা হুইল চেয়ার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। অনুমতি পেলে আমি যাব।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ ইউনূস। তবে তিনি যাবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি ইউনূস সেন্টার।
সেন্টারের কর্মকর্তা লামিয়া মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, ‘নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নামে সেতু বিভাগের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তারা পেয়েছেন। সেটি তাকে পৌঁছানো হয়েছে। তবে তিনি যাবেন কি না তা এখনই বলতে পারছি না’। অপরদিকে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তবে দলটির সাত নেতাকে ইতিমধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
আমন্ত্রিত নেতারা হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ অনেকে আছেন।
পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন, যেসব বিদেশি কর্মী এই সেতু তৈরিতে পরিশ্রম করেছেন, তারাও আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন