Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingআপনি আমাকে চিনেন? ব্যাংকে চাকরি করলে কি হবে? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক’’

আপনি আমাকে চিনেন? ব্যাংকে চাকরি করলে কি হবে? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক’’

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর।।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর শাখা জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী গ্রাহকের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ১০ মাসেও চেক বই না পেয়ে ওই গ্রাহক কিছুটা রাগান্নিত হন ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সাথে। এসময় গ্রাহককে হুমকি দিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক বলেন, “আপনি আমাকে চিনেন? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক”।

মস্তফাপুর শাখা জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে এমনটি অভিযোগ করেন মাদারীপুর সদর উপজেলা মস্তফাপুর এলাকার বাসিন্দা ও হাওলাদার কনস্ট্রাকশন এর মালিক ইলিয়াস হাওলাদার। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী।

সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে ইলিয়াস হাওলাদার জানান, গত বছর(২০২০) ১২ আগষ্ট তারিখে তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাওলাদার কনস্ট্রাকশন এর চেক বই পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদন করার কিছু দিন পর সে সময়ের ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিবর্তন হয়ে যায়। পরবর্তীতে আইয়ুব আলী নামে নতুন ব্যবস্থাপক হিসেবে আশার পর ইলিয়াস হাওলাদার ব্যাংকে গিয়ে তার চেক বই এর খোঁজ নিতে যায়। এসময় ব্যাংক কতৃপক্ষ তাকে বলেন, আপনার চেক বই প্রাপ্তি আবেদন ফরমটি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না; পুনরায় আবেদন করেন।

এর পর ইলিয়াস হাওলাদার চলতি বছরের(২০২১) ১৪ ফেব্রুয়ারী পুণরায় আবেদন করেন। আবেদন করার পর থেকে বেশ কয়েক বার ব্যাংকে গিয়েও চেক বই পাননি ইলিয়াস হাওলাদার। সর্বশেষ গত রবিবার ৮ জুন তারিখে ইলিয়াস হাওলাদার ব্যাংকে যান চেক বই নিতে। তখন ব্যাংক ব্যবস্থাপক ইলিয়াস হাওলাদার এর উপর ক্ষিপ্ত হন বার বার চেক বই নিতে আসার জন্য। তখন ইলিয়াস হাওলাদারও কিছুটা রাগান্বিত হলে তাদের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার ইলিয়াস হাওলাদারকে বলেন, আপনার মত গ্রাহক আমাদের দরকার নেই। আপনাকে চেক বই দিবো না, আপনি আপনার একাউন্ট ক্লোজ করেন। আমি ব্যাংক ম্যানেজার এর চাকরি করি দেখে আমাকে কি মনে করেছেন, আপনি। “আপনি আমাকে চিনেন? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক”

ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, আমি প্রায় ১০ মাস যাবত চেক বই পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছি। চেক বই টি আমার জন্য খুবই জরুরী। বার বার চেক বই এর খোঁজ নিতে গেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক আমার সাথে খারাপ আচারন করেন। তিনি বলেন, আপনার যদি বেশি জরুরী হয় তাহলে আপনি অন্য ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খোলেন, আমাদের ঠিকাদার প্রয়োজন নেই। তখন আমি কিছুটা রাগান্বিত হলে তিনি আমাকে বলেন, “আপনি আমাকে চিনেন? আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক”

মস্তফাপুর শাখা জনত ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, আমরা চেক বই পাওয়ার আবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি, তার একটা কপি আমরা তাকে দিয়েছি। তারপরেও সে অফিসে আসার পর আমরা সাথে খারাপ আচারন করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এবং আমাকে সে বলেছে, আপনি ব্যাংকের নিচে আসেন দেখিয়ে দেব আমি কে? তখন আমি তাকে বলেছি আমিও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক’

জনতা ব্যাংক মাদারীপুর জেলার উপ মহাব্যবস্থাপক আলী আহম্মেদ খান বলেন, চেক সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে কোন এক গ্রাহকের সাথে আমাদের ম্যানেজারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি বিষটি অবগত আছি। আসলে (এম আই সি) চেক পেতে সময় লাগে। তাছাড়া হেড অফিস যদি চেক না দেয় তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তাছাড়া আমি দুদিন ছুটিতে আছি; বৃহস্পতিবার ব্যাংকে গিয়ে আমি বিষয়টি দেখবো।
সে আসলে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর লোক কিনা যানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো সাথে তার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুৃ জানি না।

 

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments