Thursday, April 25, 2024
HomeScrollingআঙ্গারপোতা -দহগ্রামে টাস্কফোর্সের অভিযানে ভারতীয় ৭২ গরু-মহিষ আটক

আঙ্গারপোতা -দহগ্রামে টাস্কফোর্সের অভিযানে ভারতীয় ৭২ গরু-মহিষ আটক

 লালমনিরহাট সংবাদদাতা।।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম- আঙাগারপোতা ইউনিয়নের মহিমপাড়া পশ্চিম গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে ভারতীয় ৫৯ টি গরু ও মহিষ আটক করেছেন টাস্কফোর্স। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা পাটগ্রাম ইউএনও সাইফুর রহমান, এসিল্যান্ড আল ইমরান, দহগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নির্মলসহ ৫১ বিজিবি’র পানবাড়ী কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জাহাবুল ইসলাম,দহগ্রাম বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার রতিস চন্দ্র,আঙ্গারপোতা বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মিজান ও হাবিলদার ময়নুলের নেতৃত্বে এসব প্রাণি অবৈধ ঘোষণা দিয়ে আটক করা হয়। জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগ্রাম ইউএনও সাইফুর রহমান এসিল্যান্ড আল ইমরানকে সাথে নিয়ে ভোর বেলা দহগ্রামে যান। সেখানে গিয়ে বিজিবি’র সহায়তা নিয়ে মহিমপাড়া তিস্তা নদীর কাছাকাছি একটি ধান ক্ষেতে বেধে রাখা অবস্থায় ২৩ টি ভারতীয় বড় জাতের মহিষ ও ৩ টি হরিয়ানা গরু আটক করেন। আটককৃত প্রাণিগুলো অবৈধ ঘোষণা দিয়ে দহগ্রাম চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় নিলাম করা হবে বলে মাইকিংয়ে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এরপর দহগ্রাম ও আঙ্গারপোতা বিজিবি দফায় দফায় অভিচান চালিয়ে দহগ্রাম এলাকায় ১৬ টি এবং আঙ্গারপোতা এলাকায় আরও ১৭ টি ভারতীয় গরু আটক করেন বলে জানা গেছে। রাতে জানা যায়, সারাদিন ৭২ টি গরু মহিষ আটক করা হয়। একদিনে এত গরু -মহিষ আটকের ঘটনা এটাই প্রথম। তিনদিকে ভারত বেষ্টিত এক দিকে তিস্তা নদী পানিয়ারচর ভারত সীমান্ত আবার নীলফামারী ডিমলা কলোনী এলাকা দিয়ে দিনে রাতে চলে চোরাচালান। চোরাচালানের স্বর্গ রাজ্য দহগ্রাম আঙ্গারপোতা নিয়ন্ত্রনে চলতি মাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে পাটগ্রাম ইউএনও সাইফুর রহমান জানান। এর আগে গত ১০ মার্চ পরিচালিত টাস্কফোর্সে এসিল্যান্ড রুবেল রানার হাতে আটককৃত হরিয়ানা ৩২ টি গরু দহগ্রাম চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের জিম্মায় দেয়া হয়। বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি পেতে সময় লাগায় অসুস্থ হয়ে একটি বড় গরু মারা যায়। ৪৭ দিন পর ৩১ টি গরু ২৫ লাখ টাকায় নিলাম দেয়া হয়।সেখানে ভ্যাট ও আয়কর আরও সাড়ে ১২% যোগ হওয়ার কথা থাকলেও বিধি লঙ্ঘন করে তৎকালীন ইউএনও রাম কৃষ্ণ বর্মণ। তিনি জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে নিলাম ডাক ২৫ লাখে পাস করে দেন। এরপর সে টাকা থেকে খড় ও চিকিৎসা বাবদ ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিল করা হয় যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অনিয়ম -দূর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন খামারিরা। এ বিষয়ে ওই সময়ের ইউএনও বর্তমান এডিসি ঠাকুরগাঁও রাম কৃষ্ণ বর্মণের কোন বক্তব্য মিলেনি। এ বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দহগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র এবং ইউএনও সেই ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিলটি দুই ভাগ করা হয়। ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা খড়খাওয়া,পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পাহারাদার বাবদ দিয়ে বাকী অর্ধেক সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র, তৎকালীন এসিল্যান্ড রুবেল রানা ও তৎকালীন ইউএনও রাম কৃষ্ণ বর্মণ ভাগ করে নেন বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments